বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম ব্যক্তিগত বিকাশ একাউন্ট খোলার মত সহজ ব্যাপার নয়। বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর অফিসে গিয়ে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে এজেন্ট একাউন্ট খোলা যায় । তবে অনলাইনেও বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট নেওয়ার জন্য আবেদন করা যায়।
আজকের এই ব্লগে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য কি কি লাগে, এজেন্ট হওয়ার শর্ত, কত টাকা লাগবে এবং সর্বোপরি কিভাবে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট নিবেন তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট কি?
বিকাশ এজেন্ট হলো বিকাশের প্রতিনিধি। বিকাশের হয়ে বিকাশের এজেন্টরা গ্রাহকদের ক্যাশ আউট, ক্যাশ ইন, বিল পরিশোধ ও মোবাইল রিচার্জ এর সুবিধা দিয়ে থাকে।
বিকাশের যে একাউন্টের মাধ্যমে এই কাজগুলো করা হয় সেটাকে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট বলা হয়।
পার্সোনাল বিকাশ একাউন্টে ক্যাশ ইন বা ক্যাশ আউট করতে হলে অবশ্যই বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট এর সহায়তা নিতে হয়। বিকাশ ও বিকাশের গ্রাহকের মধ্যে এজেন্টরা একটি যোগসূত্রের মতো কাজ করে।
বিকাশ এজেন্ট হতে কি কি লাগে
বিকাশ এজেন্ট হতে ট্রেড লাইসেন্স, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, এজেন্ট সিম, আইডি কার্ডের ফটোকপি ও টিন সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হয়।
ট্রেড লাইসেন্স
আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অবশ্যই একটি বৈধ ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে। সিটি কর্পোরেশন/ পৌরসভা/ উপজেলা অফিস থেকে ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করে নিতে পারবেন। যে নামে ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করা হবে বা তৈরি করা আছে সে নাম দিয়েই এজেন্ট একাউন্ট এর জন্য আবেদন করতে হবে।
পাসপোর্ট সাইজের ছবি
বিকাশ এজেন্ট হওয়ার আবেদন করতে পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবির প্রয়োজন হবে।
পোস্টপেইড সিম কার্ড(যেটাতে কোন বিকাশ একাউন্ট খোলা নেই)
বিকাশ এজেন্ট হতে হলে গেলে যেকোনো অপারেটরের একটি সিম কার্ড লাগবে। নিজ নামে রেজিস্ট্রেশন করা প্রিপেইড সিম কার্ড।
একটি দোকান
আপনার একটি দোকানের ঠিকানা দিতে হবে এবং দোকানের অবস্থান এমন স্থানে হতে হবে যেখানে বিকাশে ভালো লেনদেন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভোটার আইডি কার্ড
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট এর জন্য আবেদনকারী ব্যক্তির নিজস্ব ভোটার আইডি কার্ড প্রয়োজন হবে।
টিন সার্টিফিকেট
ব্যবসার কর দেওয়ার প্রমাণ হিসেবে এই টিন সার্টিফিকেট লাগবে। টিন সার্টিফিকেট আপনি আয়কর অফিস থেকে পেয়ে যাবেন।
অথবা নিজেই টিন সার্টিফিকেট ওয়েবসাইট থেকে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারেন। এরপর লগইন করে আবেদন করলে অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট পাওয়া যায়।
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার দুটি নিয়ম রয়েছে। একটি অফলাইনে অর্থাৎ সরাসরি আবেদনের মাধ্যমে অপরটি অনলাইনে মাধ্যমে।
- বিকাশ অফিস থেকে এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
- বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য প্রথমে সকল শর্ত জেনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে বিকাশ বিক্রয় প্রতিনিধি / বিকাশ ড্রিস্টিবিউটর অফিসে যেতে হবে।
- কাগজপত্র সঠিকভাবে যাচাই-বাছাইয়ের পর বিকাশ এজেন্ট দেওয়ার উপযুক্ত মনে হলে ট্রেনিং- এ ডাকা হবে।
- ট্রেনিংয়ের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে আপনার সিমটিকে লেনদেনের জন্য সক্রিয় করে দেওয়া হবে।
অনলাইনে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
প্রথমে বিকাশের ওয়েবসাইটে থাকা এজেন্ট হওয়ার রেজিস্ট্রেশন ফরমটি পূরণ করতে হবে। এখানে ক্লিক করে সরাসরি ফরম পূরণ করতে পারবেন।
ফর্মে থাকা তথ্যগুলো ভালোভাবে পূরণ করতে হবে। প্রথমেই দোকানের নাম দিয়ে জেলা, এলাকা সিলেক্ট করতে হবে। এরপর ফোন নাম্বার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য দিতে হবে।
খেয়াল রাখবেন যে তথ্যগুলোর উপর দিকে লাল রঙের স্টার চিহ্ন দেওয়া রয়েছে। সেগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে।
এরপর আপনার এনআইডি কার্ড, এবং ট্রেড লাইসেন্স এর তথ্য ও দিন। আমি রোবট নই লেখাটির সামনে একটি ফাঁকা ঘর রয়েছে। সেখানে একটি ক্লিক করলে টিক চিহ্ন আসবে। এরপর জমা দিন বাটনে ক্লিক করুন।
আপনার আবেদন যাচাই বাছাই করার জন্য আপনাকে ফোন করে পরবর্তী পদক্ষেপে নেওয়া হবে।
বিকাশ এজেন্ট কমিশন কত
বিকাশ এজেন্ট কমিশন সাধারণত দুটি জিনিসের উপর নির্ভর কর।
- বিকাশ USSD কোড ডায়াল করে লেনদেন
- বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ থেকে লেনদেন
বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ থেকে লেনদেন কমিশন | প্রতি হাজারে ৪.৩০ টাকা |
USSD Code ব্যবহার করে লেনদেন কমিশন | প্রতি হাজারে ৪.১০ টাকা |
আর ও জানুনঃ বিকাশ নাম্বার পরিবর্তন করার নিয়ম
বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে
বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। যদিও এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য কোন ফি নেওয়া হয় না।
তবে আপনার এজেন্ট একাউন্টে শুরুতেই ১ লক্ষ টাকা ব্যালেন্স এজেন্ট একাউন্ট রাখতে হবে। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলের জন্য এই লিমিট কম হতে পারে। ২০-৫০ হাজার টাকা এজেন্ট একাউন্টে রেখেও কাজ শুরু করতে পারেন।
সাধারণত কয়েকদিন লেনদেন করলে টাকা নগদ করে ফেলতে পারবেন। তাই চিন্তার কোনো কারণ নেই। আর জেলা শহর বা টাউনে ব্যবসা করতে গেলে ১ থেকে ৩ লক্ষ টাকা সবসময় ব্যালেন্স রাখা উচিত।
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট পাওয়ার শর্ত
- প্রতিদিন সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা লেনদেন করতে হবে
- বিকাশ এজেন্ট একাউন্টে ব্যালেন্স সবসময় ৭০০০ টাকার বেশি থাকতে হবে।
বিকাশ এজেন্ট লিমিট
- বিকাশ এজেন্ট নাম্বার থেকে দিনে সর্বোচ্চ ১০ বার ক্যাশ ইন করা যাবে এবং সর্বোচ্চ ১০ বার ক্যাশ আউট করা যাবে।
- একদিনে বিকাশ এজেন্ট থেকে কোন নাম্বারে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পাঠানো যায়, এরচেয়ে বেশি ক্যাশ ইন করতে পারবেন না।
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট নিয়ে শেষ কথা
বিকাশ এজেন্ট নেওয়ার পর আপনাকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ, বিকাশ এজেন্টদের একাউন্টে পার্সোনাল বিকাশ একাউন্টের চেয়ে অনেক বেশি টাকা থাকে।
তাই, প্রায়শই হ্যাকাররা এধরনের এজেন্টকে টার্গেট করে থাকে।
মনে রাখবেন, বিকাশ কখনো পিন, ওটিপি জিজ্ঞেস করে না, তাই কখনো কাউকে আপনার বিকাশ এজেন্ট একাউন্টের পিন বা ওটিপি বলবেন না।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম ও এজেন্ট একাউন্ট সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ যা তথ্য জানতে পেরেছেন।
আরো পড়ুন:
- ড্রাইভিং লাইসেন্স অনলাইন আবেদন করার নিয়ম ২০২৪
- বিদেশ থেকে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম ২০২৪ [ A টু Z সহজ প্রক্রিয়া]
- Wi-Fi স্পিড বাড়ানোর উপায় ২০২৪ [10 টি কার্যকরী উপায়]
- ফোনের RAM বাড়ানোর উপায় ২০২৪
- আজকের সোনার দাম কত
- আজকের ডিমের পাইকারি বাজার দর
- আজকের মসলার বাজার দর
- আজকের পেঁয়াজের বাজার দর
DISCLAIMER
এই ব্লগ পোস্ট আর্টিকেল এবং আমাদের স্যোসাল মিডিয়া একাউন্ট এর তথ্য সম্পূর্ন নিরাপদ, যাচাই করা, বিভিন্ন মাধ্যমে থেকে সংগ্রত করে সবার জানার জন্য শেয়ার করা হয়েছে। আমরা বন্ধ পরিকর আপনাদের কে নির্ভুল তথ্য দিতে, তারপর ও যদি আপনাদের কোন অভিযোগ এবং কোন বেপার জানার থাকে আমাদের কে মেইল করুন [email protected],ধন্যবাদ।
Facebook Group এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Facebook Page এ লাইক দিয়ে যুক্ত হন | Follow Us |
Twitter এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
WhatsApp চ্যানেল এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Telegram চ্যানেল এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
YouTube Channel এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Quora তে আমাদের কে ফলো করুন- | Follow Us |
Pinterest এ আমাদের কে ফলো করুন- | Follow Us |
Instagram এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Web Stories এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন | Follow Us |
Threads চ্যানেল এ আমাদের কে ফলো করুন |