বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বীরত্ব গাথা ও গৌরবময় ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় বিমান জাদুঘর। বিশেষে করে দেশের তরুন প্রজন্মের কাছে বিমান বাহিনীর ঐতিহ্য ও ইতিহাস তুলে ধরতে বিমান জাদুঘরের বিকল্প নেই।
তাই ছুটির দিনে বা অবসর সময়ে পরিবার ও সন্তানদের নিয়ে জাদুঘর ঘুরে আসলে সন্তানরা দেশের ইতিহাস জানতে পারবে।
কিন্তুু অনেকেই বিমান জাদুঘর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়ে অনলাইনে সার্চ করেন। তাদের জন্যই আমাদের আজকের আর্টিকেলে থাকছে বিমান জাদুঘর সাপ্তাহিক বন্ধ,বিমান জাদুঘরের অজানা ইতিহাস,বিমান জাদুঘরে কেন যাওয়া উচিত?
বিমান জাদুঘরের অবস্থান,বিমান জাদুঘরে কি কি আছে?বিমান বাহিনী জাদুঘরের সংগ্রহশালা,কিভাবে যাবেন,বিমান জাদুঘরে প্রবেশ টিকিট মূল্য সহ আরও অনেক কিছু।
বিমান জাদুঘর সাপ্তাহিক বন্ধ
বিমান জাদুঘর সাপ্তাহিক বন্ধ রবিবার।রবিবার ছাড়া সপ্তাহের অনান্য দিন নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত খোলা থাকে।বন্ধের দিনে কেউ জাদুঘরে গেলে তাকে হতাশ হয়ে ফিরে আসতে হবে।নিচে বিমান জাদুঘরের সাপ্তাহিক সময়সূচি দেওয়া হলো:
বার | সময় |
শুক্রবার | সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা |
শনিবার | সকাল ৯ টা থেকে রাত ৮ টা |
রবিবার | বন্ধ |
সোমবার | দুপুর ২ টা থেকে রাত ৮ টা |
মঙ্গলবার | দুপুর ২ টা থেকে রাত ৮ টা |
বুধবার | দুপুর ২ টা থেকে রাত ৮ টা |
বৃহস্পতি | দুপুর ২ টা থেকে রাত ৮ টা |
বিমান জাদুঘর সাপ্তাহিক বন্ধ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :
উৎসব:বিভিন্ন উৎসবের সময় বিমান জাদুঘর সাপ্তাহিক বন্ধ থাকেনা।যেমন ইদ,কুরবানি ও পূজায় দর্শনার্থীদের ভিড় বেশি থাকে তাই জাদুঘর খোলা রাখা হয়।
সময়:মাঝে মাঝে জাদুঘরের সময়সূচির পরিবর্তন হলে তা ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া।
সংস্কার কাজ:অনেক সময় সংস্করণ কাজের জন্য জাদুঘর বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বিমান জাদুঘরের অজানা ইতিহাস
বিমান জাদুঘর স্থাপনের উদ্দেশ্য হলো দেশবাসীর কাছে বাংলাদেশের বিমান বাহিনীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরা। এই জাদুঘরে রয়েছে প্রাচীন ও আধুনিক উড়োজাহাজের বিভিন্ন মডেল, বিমানের কিছু বিচ্যুত অংশ।
এখানে শুধু বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ইতিহাস নয়, বরং বিশ্বব্যাপী বিমান চলাচলের ইতিহাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।একেকটি বিমানের পাশে সেই বিমান সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য ও কি কাজে ব্যাবহার করা হয়েছে তার বর্ননা দেওয়া আছে। এতে সহজেই ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায়।
বিমান জাদুঘরে কেন যাওয়া উচিত?
বিমান জাদুঘরে যাওয়া অতীব জরুরি। জাদুঘর সব সময় আমাদের জ্ঞানের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে।বিমান জাদুঘরও তার ব্যতিক্রম নয়। বিমান জাদুঘরে গেলে বিমান বাহিনীর ইতিহাস ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্ট নানা ঘটনার সাথে পরিচিত হওয়া যায়।
বিমান জাদুঘরে গেলে আপনি তৎকালীন ও বর্তমান প্রযুক্তি সম্পর্কে ব্যাপক ধারনা পাবেন।সেই সাথে জানতে পারবেন বিমান বাহিনীর গুরুত্ব।আর দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের এগুলো জানা গুরুত্বপূর্ণ।
বিমান জাদুঘরের অবস্থান
বিমান জাদুঘর ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় অবস্থিত। তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরের পশ্চিম এটি পাশে অবস্থিত।এই জাদুঘর থেকে একটু সামনে এগোলেই রোকেয়া সরনী ও কম্পিউটার সিটি।
বিমান জাদুঘরে কি কি আছে?
বিমান জাদুঘরে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের বিমান, হেলিকপ্টার, এবং বিমান বাহিনীর ব্যবহৃত অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম।এর পাশাপাশি ইঞ্জিন, ককপিট, এবং উইং-ও প্রদর্শনীর রাখা হয়।আরও রয়েছে বিমানের ইতিহাস সংক্রান্ত তথ্যচিত্র এবং প্রদর্শনী।
কিভাবে যাবেন
বিমান জাদুঘরে যেতে চাইলে ঢাকার যেকোনো স্থান থেকে বাস,রিকশা,সিএনজি এবং ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে আসা যায়।যেকোন যানবাহনে করে পুরাতন তেজগাঁও বিমানবন্দরে আসলে সেখান থেকে একটু সামনে আগালেই বিমান জাদুঘরে যাওয়া যায়।
বিমান বাহিনী জাদুঘরের সংগ্রহশালা
বিমান বাহিনী জাদুঘরে রয়েছে উল্লেখযোগ্য কিছু সংগ্রহশালা যা নিম্নরূপ:
নাম | বর্ননা |
বলাকা | বলাকা মূলত বাংলাদেশের প্রথম যাত্রীবাহী বিমান। রাশিয়ার তৈরি এই বিমানটি বাংলাদেশে প্রথম আসে ১৯৫৮ সালে। |
ডাকোটা বিমান | এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার একটি বোমারু বিমান। এটি ৫০০০ পাউন্ড বোমা ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন। |
এয়ার টুওরার | ট্রেইনিংয়ের জন্য এই বিমান ব্যবহার করা হয়। ১৯৯৭ সালে নিউজিল্যান্ডের তৈরি বিমানটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনিতে যোগ হয়। |
পিটি-৬ | ১৯৮৫ সালে বিমানটি বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে যুক্ত হয়।এটি চীনের তৈরি। |
ফুগাসি এম-১৭০ | ফ্রান্সের তৈরি এই বিমানটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যুক্ত হয় ১৯৯৭ সালে। |
গ্লাইডার | বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আকাশ অভিজ্ঞতার জন্য জার্মানির দেওয়া এই বিমানটি বাংলাদেশে আনা হয় ১৯৮২ সালে। |
এয়ারটেক কানাডিয়ান ডিএইচ ৩/১০০০ | কানাডার তৈরি এই বিমানটি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম সুমদ্র বন্দরে সফল অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম হয়। |
হান্টার বিমান | ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত বাংলাদেশকে ভূমি শত্রু থেকে রক্ষা করতে এই বিমানটি ব্যবহার করে। |
জাতীয় জাদুঘরে প্রবেশ টিকিট মূল্য
দর্শনার্থী ভেদে টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়।এছাড়া ভিতরে প্লেন বা হেলিকপ্টারে উঠতে ৩০ টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হয়।
বয়স/ধরন | টিকিট মূল্য |
সাধারন দর্শনার্থী | ৫০ টাকা |
সামরিক সদস্য ও তার পরিবার | ৩০ টাকা |
প্রতিবন্ধী শিশু | ফ্রী |
বিমাম বাহিনী জাদুঘরে যোগাযোগ
ফোন: +880 2-8901298
ইমেইল: [email protected]
ওয়েবসাইট: www.bafmuseum.org.bd
জাতীয় জাদুঘর সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন:বিমান জাদুঘর সাপ্তাহিক বন্ধ কবে?
উত্তর: রবিবার।
প্রশ্ন:বিমান জাদুঘরে গাড়ি পার্কিং ব্যাবস্থা আছে কি?
উত্তর: হ্যা।
প্রশ্ন:বিমান জাদুঘর কতসালে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়?
উত্তর: ২০১৪ সালে।
শেষকথা
বিমান বাহিনী জাদুঘর মূলত বিমান,হেলিকপ্টার ও এর ধ্বংসাবশেষ নিয়ে সাজানো হয়েছে। ২০১৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এখানে আসলে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ইতিহাস ও দেশ রক্ষায় এদের ভূমিকার কথা জানা যায়।
আর সেজন্য অনেকেই এখানে পরিবার পরিজন ও বাচ্চাদের নিয়ে বেড়াতে আসেন।কিন্তু বিমান জাদুঘর সাপ্তাহিক বন্ধ বা এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য না জানায় নানা সমস্যায় পড়তে হয়।
তাইতো আপনাদের জন্য তুলে ধরা হয়েছে যাবতীয় সব তথ্য।আমাদের সবোর্চ্চ প্রচেষ্টা ছিল আজকের আর্টিকেলে সঠিক তথ্য সঠিক ভাবে আপনাদের কাছে পৌছে দেওয়া।
এরপরও যদি বিমান জাদুঘর সাপ্তাহিক বন্ধ নিয়ে আপনাদের কিছু জানার থাকে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।আমরা সাধ্যমতো সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাদের সহায়তা করবো।ধন্যবাদ আর্টিকেল টি পড়ার জন্য।
আরও জানুনঃ
- যমুনা ফিউচার পার্ক বন্ধের দিন
- বসুন্ধরা শপিং মল বন্ধের দিন
- মোতালেব প্লাজা সাপ্তাহিক বন্ধ
- লালবাগ কেল্লা সাপ্তাহিক বন্ধ
- আজিজ সুপার মার্কেট সাপ্তাহিক বন্ধ
- চকবাজার সাপ্তাহিক বন্ধ
- নীলক্ষেত বই মার্কেট সাপ্তাহিক বন্ধ
- বায়তুল মোকাররম মার্কেট সাপ্তাহিক বন্ধ
- সাভার নিউ মার্কেট সাপ্তাহিক বন্ধ
- টঙ্গী বাজার সাপ্তাহিক বন্ধ
- পলওয়েল মার্কেট সাপ্তাহিক বন্ধ
- মাল্টিপ্লান সেন্টার সাপ্তাহিক বন্ধ
- আড়ং সাপ্তাহিক বন্ধ
- মোতালেব প্লাজা মোবাইল সার্ভিসিং
DISCLAIMER
এই ব্লগ পোস্ট আর্টিকেল এবং আমাদের স্যোসাল মিডিয়া একাউন্ট এর তথ্য সম্পূর্ন নিরাপদ, যাচাই করা, বিভিন্ন মাধ্যমে থেকে সংগ্রত করে সবার জানার জন্য শেয়ার করা হয়েছে। আমরা বন্ধ পরিকর আপনাদের কে নির্ভুল তথ্য দিতে, তারপর ও যদি আপনাদের কোন অভিযোগ এবং কোন বেপার জানার থাকে আমাদের কে মেইল করুন profactsbd@gmail.com,ধন্যবাদ।
Facebook Group এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Facebook Page এ লাইক দিয়ে যুক্ত হন | Follow Us |
Twitter এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
WhatsApp চ্যানেল এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Telegram চ্যানেল এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
YouTube Channel এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Quora তে আমাদের কে ফলো করুন- | Follow Us |
Pinterest এ আমাদের কে ফলো করুন- | Follow Us |
Instagram এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
Web Stories এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
TikTok চ্যানেল ফলো করে রাখুন | Follow Us |
Threads চ্যানেল এ আমাদের কে ফলো করুন | Follow Us |
মোঃ মারুফ হাসান, প্রো ফেক্টস বিডির প্রধান সম্পাদক ও লেখক। প্রযুক্তি বিষয়ে তাঁর গভীর জ্ঞান ও লেখার দক্ষতার কারণে তিনি পাঠকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য একজন উৎস হিসেবে পরিচিত। প্রো ফেক্টস বিডির লক্ষ্য হল সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া। তিনি এই লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।