অনেকে বাজার দর কিভাবে বের করতে হয় এই বিষয় নিয়ে জানতে চায়, আজকে আমরা এই আর্টিকেল এ বাজার দর বের করার সম্ভাব্য উপায় গুলা নিয়ে বিস্তারিত আপনাদের কে জানাব
আশা করি বাজার দর বের করা বিষয় গুলা আপনারা সহজেই বুঝতে পারবেন, চলুন নিচে বিস্তারিত দেখি।
বাজার দর কিভাবে বের করতে হয়?
বাজার দর নির্ধারণের পদ্ধতি নির্ভর করে কোন ধরণের বাজারের কথা বলছেন তার উপর। এখানে আমার সব ধরনের বাজার দর কিভাবে বের করতে হয় তা নিয়ে আপনাদের জন্য আলোচনা করেছি, চলুন জেনে নিই বাজার দর বের করার কিছু সাধারণ পদ্ধতি জানুন।
১) শেয়ার বাজার:
- বাজার মূল্য: বাজার মূল্য হল বর্তমানে বাজারে একটি শেয়ার কেনার জন্য ক্রেতারা কত টাকা দিতে ইচ্ছুক তার সর্বোচ্চ পরিমাণ। এটি বিক্রেতারা কত টাকা চায় তার সর্বনিম্ন পরিমাণের সাথে তুলনা করা যেতে পারে।
- P/E অনুপাত: P/E অনুপাত হল একটি কোম্পানির বর্তমান শেয়ারের মূল্যকে তার প্রতি শেয়ার আয় দ্বারা ভাগ করে পাওয়া হয়। এটি বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির আয়ের তুলনায় তার শেয়ারের মূল্য কতটা মূল্যবান বলে মনে করেন তা নির্দেশ করে।
- ডিভিডেন্ড ইয়িল্ড: ডিভিডেন্ড ইয়িল্ড হল একটি কোম্পানি তার শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি বছর যে পরিমাণ ডিভিডেন্ড প্রদান করে তার একটি শতাংশ। এটি বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির শেয়ার থেকে কতটা আয় আশা করতে পারে তা নির্দেশ করে।
২) রিয়েল এস্টেট:
- তুলনামূলক বিক্রয় বিশ্লেষণ: এই পদ্ধতিতে, সম্পত্তির বাজার মূল্য নির্ধারণ করতে সম্প্রতি বিক্রি হওয়া অনুরূপ সম্পত্তির দাম ব্যবহার করা হয়।
- মূল্যায়নকারীর মূল্যায়ন: একজন পেশাদার মূল্যায়নকারী সম্পত্তির অবস্থান, আকার, বৈশিষ্ট্য এবং বাজারের অবস্থা বিবেচনা করে একটি মূল্য নির্ধারণ করবে।
- আয় সম্পত্তির মূল্যায়ন: এই পদ্ধতিতে, সম্পত্তি থেকে আয়ের সম্ভাব্য প্রবাহের উপর ভিত্তি করে বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
৩) অন্যান্য বাজার:
- জিনিসপত্র: জিনিসপত্রের বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয় তার অবস্থা, বয়স, দুর্লভতা এবং চাহিদার উপর নির্ভর করে।
- সেবা: সেবার বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয় সেবার গুণমান, চাহিদা এবং প্রতিযোগিতার উপর নির্ভর করে।
৪) দোকানে দেখা:
আপনি যদি সম্ভব হলে বাজারের দর জানতে যান এবং পছন্দের পণ্যের দর একটু দেখুন। দোকানদারকে প্রতি পণ্যের দর জিজ্ঞাসা করুন এবং তাদের দরবিশ্লেষণ করুন।
৫) অনলাইন অনুসন্ধান:
ইন্টারনেটে সম্ভবত সবচেয়ে সাধারণ পণ্যের বর্তমান দর বের করা সহজ। পণ্যের মডেল নাম বা ব্র্যান্ড নাম লিখুন এবং “দর” অনুসন্ধান করুন।
৬) দৈনিক বাজার দর:
কিছু দৈনিক দরপত্র বা অনলাইন পোর্টালে বাজারের দর প্রকাশিত হয়ে থাকে। এগুলি পড়ে আপনি পছন্দের পণ্যের বর্তমান দর জানতে পারেন।
৭) বিশেষজ্ঞ পরামর্শ:
সময় লাগতে পারে, কিন্তু অনেক গভীরভাবে বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় দরকে জানতে পারবেন। কোনও প্রয়োজনে আপনি ব্যবহারকারী সম্পর্কিত ফোরাম বা অন্যান্য সম্প্রদায়ে প্রশ্ন করতে পারেন।
বাজার দর নির্ধারণ একটি জটিল প্রক্রিয়া এবং বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন। উপরে উল্লিখিত পদ্ধতিগুলো কেবলমাত্র কিছু সাধারণ নির্দেশিকা।আপনার যদি কোন নির্দিষ্ট বাজার সম্পর্কে প্রশ্ন থাকে, তাহলে একজন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
সব শেষে।
আশা করি বাজার দর কিভাবে বের করতে হয় এই বিষয় নিজে আপনারা বুঝতে পেরেছেন, তারপর ও যদি আপনাদের আর কিছু জানার থাকে, আমাদের কে নিচে কমেন্টস বক্স এ প্রশ্ন করবেন, আমরা উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে আপনাকে বিষয় টি জানাব, ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য।
আরও জানুনঃ
- বাজার কাকে বলে ?
- বাজার কত প্রকার ও কি কি?
- বাজার দর কাকে বলে?
- একচেটিয়া বাজার কি?
- অলিগোপলি বাজার কাকে বলে ?
- মূলধন বাজার কাকে বলে?
আমি শারমিন আক্তার, লিখা লিখির মাধ্যমে মানুষ কে সঠিক তথ্য দেওয়া আমার এক ধরনের শখ বলতে পারেন, তাই আমি নিয়মিত ব্লগ আর্টিকেল শেয়ার করতে পছন্দ করি। আশা করি আমার শেয়ার করা আর্টিকেল আপনাদের কাজে আসবে, এটাই আমার স্বার্থকতা। সবাই কে ধন্যবাদ।